• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪২৯

অপরাধ

দশ বছর পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী গোলজার হোসেনের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৪ আগস্ট ২০২৩

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি:

ঢাকার কেরানীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলার মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক প্রধান আসামী (সাবেক মেম্বার) গোলজার হোসেন (৫৮)কে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ । আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ঢাকার সূত্রাপুর একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আজ দুপুরে সাড়ে ১২ টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল)মো. শাহাব উদ্দিন কবির। তিনি জানান, আজ ২৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ঢাকার সূত্রাপুর একটি বাসা থেকে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ থানার ওসী ও তদন্ত ওসী মাসুদুর রহমান এর সহযোগিতায় পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তিতে রাজধানীর সূত্রাপুর (ডিএমপি) এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

 তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতিকুল্লাহ চৌধুরীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার প্রধান আসামী দীর্ঘদিন পলাতক মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

  ২০১৩ সালে কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে  নৃশংসভাবে হত্যা পর মৃতদেহের পরিচয় গোপন করা জন্য গোলজারের নির্দেশে আসামীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের পেট্রোল মৃত আতিক উল্লাহ চৌধুরীর দেহে ছিটিয়ে দিয়ে মৃতদেহটিকে গুম করার উদ্দেশ্যে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

 

পরবর্তীতে ১২ ডিসেম্বর ২০১৩ সালে আতিক উল্লাহ চৌধুরীর ছেলে ফারুক চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে  দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন। উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ গুলজার সহ ০৮ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমানে আসামীদের বিরুদ্ধ অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় গত ২রা ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে আসামী  গুলজার,তাজুল ইসলাম তানু,  জাহাঙ্গীর ওরফে জাহাঙ্গীর খাঁ, আহসানুল কবির ইমন,  রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন,  শিহাব আহমেদ শিবু,মোঃ আসিফ দের  আতিক উল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেন।

 ইতিপূর্বে অন্যান্য আসামীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেও উক্ত মামলার প্রধান আসামী গোলজার, রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন,  শিহাব আহমেদ শিবু, আত্মগোপন করে ছিল।

 সাবেক মেম্বার গোলজার হোসেন দীর্ঘ দিন পলাতক থাকলেও নিজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না। মোবাইল ব্যবহার না করলে তিনি বাংলাদেশ দেশে আছেন এটা আমরা নিশ্চিত হয়ে। তার ছেলে, মেয়ে স্ত্রীর চলাচল গতিপথ অনুসরণ করতে সোর্স ব্যবহার করি। কে কখন কোথায় যায় সেই গতিপথ অনুসরণ করি।পরে আমরা নিশ্চিত হই গোলজার হোসেন স্ত্রী কে নিয়ে সূত্রাপুর এলাকায় একটি বাসায় আছে। তার বাসায় তাকে ঘুমানো অবস্থায় গ্রেফতার করি। এ সময় তার সাথে স্ত্রী কেও পাই। উল্লেখ্য এ মামলায় এখনো দুই আসামী পলাতক আছে। তারা হলেন

মোঃ রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন,  শিহাব আহমেদ শিবু। দন্ডপ্রাপ্ত বাকী দুই আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads